ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর ভ্রমন । সিলেট ভ্রমন ব্লগ - Volagonj Shada Pathor Sylhet Travel Details
🔰 বছরের কোন সময়ে যাবেন ?
মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর এলাকায় যাওয়ার উপযুক্ত সময়।
🔰 কিভাবে যাবেন ?
বাংলাদেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে বাসে বা ট্রেনে সিলেট আসা যায়। বাসে ট্রাভেল করলে চেষ্টা করুন রাতে ট্রাভেল করার। বাসের সুপারভাইজার কে বলে রাখুন সিলেটের কদমতলী বাস স্ট্যান্ডে নামিয়ে দিতে। ঢাকা থেকে আসতে চাইলে মহাখালী বাস স্ট্যান্ড থেকে আসতে পারেন, ভাড়া পড়বে ৪৭০ টাকা নন এসি বাস। কদমতলী থেকে আম্বরখানা পয়েন্টে আসতে হবে। আম্বরখানা পয়েন্ট থেকেই ভোলাগঞ্জের সি এন জি পাবেন। কদমতলী থেকে নেমে রিক্সায় আম্বরখানা পয়েন্টে যেতে পারেন, ভাড়া পড়বে ৫০ টাকা অথবা চাইলে শেয়ার সি এন জি তে আসতে পারেন, ভাড়া পড়বে জনপ্রতি ১৫ টাকা । আম্বরখানা থেকে ভোলাগঞ্জে লোকাল জনপ্রতি ১৩০ টাকা করে শুধু যাওয়া। চাইলে রিজার্ভও যাওয়া যায়, আপনি সারাদিনের জন্য রিজার্ভ করে নিতে পারেন,।সে সেক্ষেত্রে ভাড়া পড়বে যাওয়া আসা মিলে ১২০০ টাকা, চাইলে অন্য প্লেস গুলোও ট্রাভেল করতে পারবেন। তবে অবশ্যই দরদাম করে নিতে হবে। আপনি কম খরচে ট্রাভেল করতে চাইলে বাসে করে ভেলাগন্জে আসতে পারেন, সেক্ষেত্রে ভাড়া পড়বে ৬০-৭০ টাকা। আম্বরখানা থেকে এয়ারপোর্ট রোতের দিকে একটু হাটলেই পেয়ে যাবেন সাদা পাথর পরিবহন অথবা বিআরটিসি বাস। ভোলাগ্জ সি এন জি দিয়ে যাওয়ার পরে আপনাকে সাদাপাথর যেতে হলে নৌকা ভাড়া করতে হবে। এক্ষেত্রে ভাড়া পড়বে ৮০০ টাকা। তবে এক্ষেত্রে একটা জিনিস মনে রাখতে হবে যে ৮ জনের গ্রুপ গেলে খরচ কমে যাবে অনেকাংশে। আপনি যদি একা আসেন তবুও চিন্তার কিছু নেই, নৌকার ঘাটে কিছুসময় অপেক্ষা করলে বিভিন্ন গ্রুপ পাবেন। তাদের সাথে কথা বলে এড হয়ে যেতে পারেন, সেক্ষেত্রে ভাড়া পড়বে যাতায়াত মাত্র ১০০ টাকা। সাদাপাথর নেমে অবশ্যই নৌকার মাঝির নাম্বার নিয়ে রাখবেন, কারন নৌকা আপনাদের নামিয়ে দিয়ে চলে আসবে। আপনাদের ঘুরাঘুরি শেষ হলে নৌকার মাঝিকে ফোন দিবেন নৌকা এসে আপনাদের নিয়ে যাবে।
🔰 ভোলাগঞ্জ এর দর্শনীয় স্থানসমূহ
ভোলাগঞ্জ আসলে আপনার দেখা মিলবে উচু উচু পাহাড়, স্বচ্ছ নীল জল আর পাহাড়ি নদী। মন চাইলে নেমে পড়ুন পানিতে। ঠান্ডা স্বচ্ছ জলে গা ভিজিয়ে নিন শরীর ও মন দুইটাই ঠান্ডা হয়ে যাবে। তবে একটু সাবধান। পাহাড়ি নদী হওয়ায় পাথরে পা সিল্প করে খুব বেশী। আরো দেখা মিলবে ভোলাগঞ্জ রোপওয়ে। ভারতের পাহাড়ি নদীর সাথে নেমে আসে সাদা পাথর। এই পাথর সমূহ আহরণের জন্য ১৯৬৪-১৯৬৯ সময়কালে নির্মাণ করা হয় ভোলাগ্জ রোপওয়ে। এখন অবশ্য এই রোপওয়ে বন্ধ। এখানে আসলে আপনার আরো দেখা মিলবে পাথর উওোলনের দৃশ্য। ভোলাগঞ্জে রয়েছে একটি ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশন। এ স্টেশন দিয়ে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম চলে। এ স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা প্রধানত চুনাপাথর আমদানী করে থাকেন। চুনাপাথর নিয়ে প্রতিদিন শত শত ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করে। সীমান্তের জিরো লাইনে এ কাস্টমস স্টেশনের অবস্থান। ভোলাগঞ্জে ইন্ডিয়ান প্রোডাক্ট নিয়ে অনেক দোকান পসরা সাজিয়ে আছে, চাউলে সেখান থেকো কিছু কেনাকাটা করে নিতে পারেন।
🔰 কোথায় থাকবেন ?
ভোলাগঞ্জ বা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় থাকার জন্য তেমন কোন সুব্যবস্থা নাই। আপনি ভোলাগঞ্জ ভ্রমণ শেষে সিলেটে এসে অবস্থান করতে পারবেন। সিলেট আম্বরখানার পাশেই পেয়ে যাবেন হোটেল। নিজের পছন্দমত ২ ষ্টার থেকে শুরু করে ৩ ষ্টার পর্যন্ত মানের ভালো হোটেল পেয়ে যাবেন।
কোন মন্তব্য নেই